Description
দেশি মুরগীর মাংসের কথকতা :
দেশী মুরগীর মাংস অন্যান্য মুরগীর মাংসের থেকে শ্রেয়। কারণ- দেশি মুরগী বড় করার জন্য কৃত্রিম হরমোন ইনজেকশন, অ্যান্টিবায়োটিক হয় না।bতাই দেশি মুরগীর মাংস স্বাস্হ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
গৃহে পালিত মুরগী- যারা এদিকে সেদিকে চড়ে বেড়ায়, নিজের খাবার নিজে খুঁজে খুঁজে খায়, যাদের ধরলে ক্ক ক্ক করে চিৎকার দেয়, যাদের ধরতে গেলে বেশ কসরত করতে হয় সেই সব মুরগীর মাংস অর্থাৎ দেশি মুরগীর মাংস-ই স্বাস্হ্যসম্মত এবং সুস্বাদু।শুধু তাই নয় দেশি মুরগীর মাংস স্বাদে এবং মানেও সেরা।
# দেশি মুরগীর মাংসের গুণাগুণ:
* দেশি মুরগীর মাংসে প্রচুর পরিমাণে (কম চর্বি যুক্ত) প্রোটিন রয়েছে, যা মাংসপেশী গঠনে, পেশীকে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।
* দেশি মুরগীর মাংসে ভিটামিন – এ (রেটিনল, আলফা, বিটা ক্যারোটিন, লাইকোপেন) রয়েছে, যা চোখের স্বাস্হ্য ভাল রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।
* দেশি মুরগীর মাংসের ভিটামিন বি-৬ শরীরের বিপাকের মাত্রা বাড়ায়। যা শরীরে চর্বি না বাড়িয়ে খাবার হজমে, রক্তনালী ঠিক রাখতে কাজ করে।
* দেশি মুরগীর মাংস প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন নিয়াসিন সমৃদ্ধ হওয়ায় মুরগীর মাংস বিভিন্ন প্রকার ক্যান্সার ও ত্রুটিপূর্ণ ডিএনএ দ্বারা সৃষ্ট জিনগত সমস্যা হয় তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
* দেশি মুরগীর মাংস ফসফরাস সমৃদ্ধ হওয়ায় দাঁত ও হাড়ের স্বাস্হ্য ভাল রাখে। হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।
কিডনি, লিভার ও স্নায়ুতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
* দেশি মুরগীর মাংসে উচ্চমাত্রায় অ্যামাইনো এসিড ট্রিপটোফেন রয়েছে। যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে চাপমুক্ত রাখতে, বিষন্নতা দূর করতে সাহায্য করে।
* হোমোকিস্টাইন নামক অ্যামাইনো এসিড (যার উচ্চমাত্রা হার্টের জন্য ক্ষতিকর) নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের বিভিন্ন ধরনের কার্ডিওভাস্কুলার রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।