লাল চিনির উপকারিতা গুলো উল্লেখ করা হল :
চিনি কার্বোহাইড্রেট বা শর্করাজাতীয় খাবার, যা আমাদের দেহে শক্তির জোগান দেয়। আমরা প্রধানত উদ্ভিজ্জ উৎস যেমন_আখ, মিষ্টি বিট থেকে চিনি পাই। এ ছাড়া প্রাকৃতিক কিছু খাবার যেমন দুধ, ফল, মধুও চিনির উৎস। সাধারণত চিনি সাদা এবং লাল বা বাদামি_এ দুই রঙের হয়। সুন্দর পরিষ্কার রঙের জন্য সাদা চিনি জনপ্রিয় হলেও পুষ্টিগুণের দিক থেকে লাল চিনি উৎকৃষ্ট।
লাল চিনি মোলাসেস নামক এক প্রকার আঠাল উপাদানের জন্য চিনি লাল বা বাদামি রং ধারণ করে। এ মোলাসেস আখ থেকে চিনি উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় উপজাত হিসেবে উৎপন্ন হয়। অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত চিনিতে প্রায় ৩.৫ শতাংশ মোলাসেস থাকে। তাই একে প্রাকৃতিক চিনিও বলা হয়ে থাকে। সাদা চিনি লাল চিনিকে বেশি পরিশোধিত করে সাদা চিনিতে রূপান্তর করা হয়। যে চিনির রং যত বেশি সাদা, তত বেশি পরিশোধিত, তত কৃত্রিম এবং তত কম পুষ্টিসম্পন্ন।
সাদা ও লাল চিনির পুষ্টিতত্ত্ব স্বাদ ও গন্ধের দিক থেকে লাল চিনি সাদা চিনি অপেক্ষা উন্নত। লাল চিনি দিয়ে তৈরি খাবার সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।
লাল চিনির গুণের কথা-
* লাল চিনির মোলাসেস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
* এতে বিদ্যমান ফলিক এসিড দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
* এ চিনি দেহে রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
* লাল চিনির খাদ্য উপাদান অন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে এবং ক্ষুধামান্দ্য দূর করে।
* এ চিনির উপাদান হজমে সহায়তা করে।
* আয়রনসমৃদ্ধ হওয়ায় প্রসব-পরবর্তী সময়ে মায়েদের জন্য উপকারী।
* লাল চিনি ত্বক চর্চায় ব্যবহার হয়।
*সর্দিজ্বর হলে লাল চিনি এক কাপ গরম পানির সঙ্গে আদা কুচি ও লাল চিনি মিশিয়ে খেলে
সর্দিজ্বর দ্রুত ভালো হয়।
*ত্বক পরিচর্যায় লাল চিনি লাল চিনি ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে ফেসিয়াল মাস্ক হিসেবে
ব্যবহার করা যায়।
*প্রতিদিন একবার করে এ মাস্ক ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর হয় এবং
ত্বক উজ্জ্বল হয়।