Description
প্রত্যেক বাঙালি গৃহিণীর রান্নাঘরে গেলেই যে মশলাটি পাওয়া যায় সেটা হল হলুদ। রান্নার অপরিহার্য উপাদান এটি। শুধুমাত্র রান্না ছাড়াও যে কত কাজে হলুদ ব্যবহার হচ্ছে তার হিসাব নেই। রূপচর্চা থেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পর্যন্ত হলুদের জুড়ি মেলা ভার। হলুদের আরো কিছু গুণাগুণ রয়েছে যা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না।
কাটাছেঁড়া, ক্ষত ও পোড়া স্থান সারাতে: কাঁচা হলুদ হচ্ছে প্রাকৃতিক এন্টিসেপ্টিক। কাটাছেঁড়া, ক্ষত এবং পোড়া স্থানে হলুদ লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
চর্মরোগে উপকার: যেকোনো চর্ম রোগের জন্য হলুদ বেশ উপকারী। কাঁচা হলুদের সাথে কাঁচা দুধ মিশিয়ে শরীরে মাখলে এলার্জি ও চুলকানি জাতীয় সমস্যা দূর হয়।
ব্রণ দূর করতে: হলুদের মধ্যে এন্টিসেপ্টিক এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকে বলে এটি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে
বয়স ধরে রাখে: হলুদের মধ্যে থাকা বেশ কিছু উপাদান আমাদের বয়সকে ধরে রাখতে সাহায্য করে।
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়: হলুদের মধ্যে থাকা কার্কিউমিন নামক উপাদান রক্তের ক্ষতিকর পদার্থগুলো শরীর থেকে বের করে দেয়।
মস্তিস্ক সচল রাখে: হলুদ আমাদের মস্তিস্ককে অনেক সময় ধরে সচল ও কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে।
জীবাণুমুক্ত রাখে: হলুদে আছে এন্টিসেপটিক। পানিতে হলুদ মিশিয়ে গোসল করলে শরীর থেকে অনেক ধরনের জীবাণু দূর হয়।
হজম শক্তি বাড়ায়: খাবারে হলুদ ব্যবহার করলে এটি হজম শক্তি ত্বরান্বিত করে।
হাঁপানিতে উপকার: হলুদের গুঁড়া, আখের গুড় আর খাঁটি সরিষার তেল একসাথে মিশিয়ে খেলে হাঁপানিতে উপকার পাওয়া যায়।
শুধু রান্নায় মশলা হিসেবে নয়, হলুদের রয়েছে বহু রকমের গুণাগুণ। নিজেকে সুন্দর, সুস্থ ও ফিট রাখতে প্রতিদিন অল্প করে হলেও কাঁচা হলুদ খান।