কিভাবে চিনবেন? ১০০% ন্যাচারাল ঘানি ভাঙ্গা নারিকেল তেল?
Coconut Oil খাঁটি ঘানি ভাঙ্গা নারিকেল তেল:
প্রথমে রঙের কথা বলতে গেলে বলতে হয়, বোতলে রাখা অবস্থায় নারিকেলের রঙ হয় একদম সোনালি। আর বড় ঘানিতে নারিকেলের খলাসহ পিষে ফেলে তেল বের করা হয়। এবং যেহেতু কোন রাসায়নিক পদ্ধতিতে ফিল্টার না করে একদম ন্যাচারালভাবে ছেকে তেল তৈরি করা হয় তাই তেলের ভিতরে নারিকেলের খোলার হালকা কিছু গুড়ো থাকে।
সংরক্ষণ
তাজা নারিকেল থেকে তৈরি ঘানি ভাঙ্গা তেল কৃত্রিম উপায়ে পরিশোধন করা হয় না বলে এতে হালকা পরিমান পানি রয়ে যায়। সম্পূর্ণ তাপবিহীনভাবে এই তেল তৈরি হয় বলে তেল ফুটিয়ে পানি দূর করার প্রশ্নই ওঠে না। এতে তেলের গুনাগুন একেবারেই নষ্ট হওয়ার চান্স থাকে।
একটু পানি থাকার কারণে এই তেল ব্যবহার শুরু করার এক বছরের মধ্যেই শেষ করে ফেলাটা ভালো। কারণ তাজা তেলের গুনাগুন এর মধ্যেই অনেকটা শেষ হয়ে যায়। মাঝে মাঝেই ঘানি ভাঙ্গা তেলের বোতল একটু রোদে দিলে ভাল থাকে। ঘরে বানান আচার যেমন রোদে দিলে তাজা থাকে, গন্ধ হয় না। ঠিক তেমন।
এটুকু পড়েই আপনি নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, আপনার কেনা তেলটার সাথে ঘানি ভাঙ্গা তেলের তফাৎ আসলে কতটুকু। সুতরাং চিন্তা করে দেখুন, আপনি কতো কষ্ট করেই না টিপস পড়ে পড়ে তেল দিয়ে চুল আর স্কিনের কেয়ার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু গোড়াতেই যখন গলদ থাকে তখন আসলেই কি কোন ফল পাবেন?
খাঁটি নারিকেল তেল দিয়ে যা যা করতে পারবেন –
আচ্ছা, এবারে আপনাদের বলি খাঁটি নারিকেল তেল দিয়ে আপনারা কী কী করতে পারবেন-
– চুলের যত্নে নারিকেল তেলের কথা কে না জানে? গোসলের আগে আর পড়ে তো বটেই, যেকোনো মাস্কে এবং হারবাল অয়েল রেসিপিতে এই তেল ব্যবহারে আপনি নিজেই তফাৎ দেখতে পাবেন। মিলিয়ে দেখবেন তো, যারা মাঝে মাঝেই বাজারের রিফাইন্ড তেল দিয়ে হারবাল অয়েল তৈরি করার চেষ্টা করেন তারা, খাঁটি তেলের সাথে কতো তফাৎ!
– এছাড়া আমি আর আমার মা খাঁটি নারিকেল তেলের বোতলে মাঝে মাঝে এক মুঠ মেথি আর কালোজিরা একটু ভেঙ্গে দিয়ে তেলের মধ্যে ঢেলে রেখে দেই। এর পর ১ সপ্তাহ প্রতিদিন তেলের বোতলটা রোদে রাখি। এতে তেলে মেথি আর কালজিরার এসেন্সিয়াল অয়েল মিশে যায়। এভাবে খাঁটি তেল ইউজ করলে খুশকি কমে যায় আর চুলের গোঁড়া শক্ত হয়।
– গোসলের পর নারিকেল তেল আমি রেগুলারই সারা গায়ে মাখি। বলাই বাহুল্য, মিনারেল অয়েল মেশানো কেনা তেল যেমন ভারি হয় আর চিটচিটে হয় ঘানির তেল তার ৩ ভাগের একভাগ চিটচিটেও হয় না। এবং তেলটা কিছুক্ষনের মধ্যেই স্কিনে অ্যাবজরব হয়ে যায়।
– বাচ্চাদের শরীর মালিশের জন্য আমার দাদি এবং আমার মা সবসময়ই ঘানি থেকে নারিকেল তেল নিয়ে এসে সেটা ব্যবহার করতেন। আজকাল তো বাচ্চাদের গায়েও আমরা বাজার থেকে চোখ বুজে যা পাই তাই কিনে নিয়ে এসে মাখা শুরু করি।
– রেগুলার স্কিনে নারিকেল তেলের মালিশ বয়সের ছাপ কমায়। শরীরের দাগ ছোপদূর করে। যেকোনো ধরণের স্কিনের রোগ দূরে রাখে। সুতরাং, যাদের বয়সের জন্যশরীরের স্কিন ঝুলে যাচ্ছে, অথবাসবসময় স্কিন থেকে চামড়া উঠছে তারা গোসলের আগে সারা শরীরে একটু নারিকেল তেল ম্যাসাজ করে নেবেন। স্কিন অতিরিক্ত ড্রাই হলে গোসলের পর বডি একটু ভেজা থাকতে থাকতেই ম্যাসাজ করবেন। আশা করি যেকোনো বডি লোশন থেকে ভালো ফল পাবেন। আর কোন এক্সট্রা কেমিক্যাল ও আপনার স্কিন টাচ করতে পারবে না।